লালমনিরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি মাইক্রো চালক বেলাল হত্যার বিচার ও হত্যা মামলার তিন নম্বর পলাতক আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার এবং মামলার বিচার কাজ দ্রুত শেষ করে আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার মাইক্রো চালক ও শ্রমিকরা।
বুধবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১২টায় জেলা শহরের মিশনমোড় গোল চত্ত্বরে সম্মিলিত মাইক্রো চালকদের আয়োজনে এ মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাস মিনিবাসের শ্রমিক নেতা রবিন হোসেন বাপ্পি, শ্রমিক নেতা কামরুল ইসলাম ও জেলায় কর্মরত প্রায় তিন শতাধিক মাইক্রো চালক-শ্রমিকসহ নিহত বেলালের মা আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেলালের মা ও শ্রমিকনেতারা বলেন, নিহত বেলাল একজন শান্ত স্ববাবের মানুষ ছিলো। তার নব বিবাহিতা স্ত্রীর পরকিয়ার কারনে আজ সে আমাদের মাঝে নেই৷ বেলাল হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত বেলালের স্ত্রী লাবনী এবং লাবনীর দুলাভাই আলমগীর বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। মামলার তিন নম্বর আসামী আলমগীরের চাচাতো ভাই জনি এখনও পলাতক।
পলাতক আসামী জনিকে দ্রুত গ্রেফতার এবং হত্যার সাথে জড়িত সকলকে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হোক বলে দাবি করেন বক্তারা।
উল্লেখ যে গত বছরের(২০২০) ২৪ জুন নিখোঁজ হয় নিহত মাইক্রো চালক বেলাল। ওইদিন রাতে তার মা জরিনা লালমনিরহাট সদর থানায় একটি জিডি করেন।
পরদিন জেলার আদিতমারি উপজেলার সারপুকুর এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে বেলালের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে আদিতমারি পুলিশ। পরে তার পরিবার লাশ সনাক্ত করলে থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।
এর কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের চৌকস তদন্তে বেরিয়ে আসে বেলাল হত্যার মুল রহস্য। পরকীয়ার কারনে খুন হতে মাইক্রো চালক বেলালকে।
এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে বেলালের স্ত্রী লাবনী এবং পরে লাবনীর স্বীকারোক্তিতে হত্যায় জড়িত তার দুলাভাই আলমগীরকে গ্রেফতার করে । বর্তমানে লাবনী ও লাবনীর পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর জেল হাজতে থাকলেও হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মামলার তিন নম্বর আসামী জনি এখনও পলাতক রয়েছে।